রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৮:৩২ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
যশোর জেলার কোতয়ালী থানাধীন পুলেরহাট বাজার এলাকা হতে অজ্ঞানপার্টির মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬ খুলনায় ওয়ালটনের আনন্দ উৎসব ৮০ বোতল বিভিন্নধরনের বিদেশি মদ এবং একটি প্রাইভেট কার সহ ০২জন আসামি গ্রেফতার প্রসঙ্গে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৮ জনঃ কেএমপি ডিবির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার ও নবনিযুক্ত ঢাকা রেঞ্জ ডিআাইজি রেজাউল করিম মল্লিকের বিদায় সংবর্ধনা ইয়াবাসহ ২ জন মাদক কারবারি গ্রেফতারঃ কেএমপি যানজটমুক্ত নগরী গড়তে কেএমপি’র অনন্য উদ্যোগ; ইজিবাইক চালকদের প্রশিক্ষণ খুলনায় ভোক্তা-অধিকারের কঠোর অভিযানঃ জরিমানা ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের উদ্যোগে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি যাত্রাবাড়ীতে ৫,০০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি
নোটিশ :
স্বাধীন বাংলা সংবাদে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে , আমাদের ওয়েব সাইট পরিক্ষা মূলক সম্প্রচার করা হচ্ছে...

চিতলমারীতে “জমি আছে ঘর নেই” আশ্রায়ণ প্রকল্পের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ; দুদকের চিঠি, তথ্য-উপাত্ত তলব।

রিপোর্টারের নাম / ২৮০ টাইম ভিউ
আপডেট সময়: রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৮:৩২ অপরাহ্ন

মোঃ একরামুল হক মুন্সী, চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
পলাতক স্বৈরাচারি শেখ হাসিনার আশ্রায়ন প্রকল্প-২ “জমি আছে ঘর নেই” এই প্রকল্পে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ৬০০টি ঘরের ১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তার গংদের বিরুদ্ধে। ইতিপূর্বে (১২ফেব্রæয়ারি) দুর্ণীতি দমন কমিশন তথ্য উপাত্ত ও কাগজপত্র চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন চিতলমারী উপজেলা প্রশাসন বরাবর।
চিতলমারী উপজেলার সাবেক ইউএনও মোঃ আবু সাঈদ তৎ সংঙ্গীয়রা কোটি টাকার দুর্ণীতির সাথে জড়িত বলে উক্ত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। দুদক এর সহকারী পরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান (পরিচিতি নং-পি-এসিসি ০৯৯৫২২০২৪৩) স্বাক্ষরিত চিঠিতে (স্মারক নং এর শেষ ডিজিট-১২৫, এর (ক) এ জানানো হয়েছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আশ্রায়ণ প্রকল্প ২ এর আওতায় “যার ঘর আছে জমি নেই” তার নিজ ভ‚মিতে গৃহ নির্মান প্রকল্পভূক্ত বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলায় নির্মিত ৬০০টি ঘর সংক্রান্ত সকল প্রকার কাগজ ও রেকর্ডপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে উপজেলা প্রশাসনকে।
উল্লেখ্য, “সুখ নেই হাসিনার দেওয়া বাড়িতে, ৮৩টি পরিবারের মানবেতর জীবণ”। গত ৭ জানুয়ারি (২০২৫) আমার দেশ পত্রিকার দশম পাতায় চিতলমারী উপজেলা প্রতিনিধির পাঠানো সংবাদটি লিড আকারে ছাপা ও মাল্টি মিডিয়ায় প্রকাশ করা হলে প্রশাসন লড়ে চড়ে বসে।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের জুন মাসে মুজিব শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে আশ্রায়ন প্রকল্পের বসতঘর অসম্পন্ন রেখে সুভিধাভোগিদের হাতে আনুষ্ঠনিকভাবে দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন উপজেলা প্রশাসন। ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষ হয়ে ২০২৫ সালেও ভূক্তভোগিরা তাদের পরিপূর্ণ ঘরগুলো বুঝে পাননি কাজে রয়েছে সীমাহীন দুর্ণীতি।
এ দুর্ণীতির মূল হোতা ছিলেন চিতলমারী উপজেলার সাবেক ইউএনও মোঃ আবু সাঈদ ও পরবর্তী পর্যায় যোগদানকৃত কয়েকজন ইউএনও এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির লোকজন তবে বর্তমান কর্মরত ইউএনও তাপস পাল এ ব্যপারে জড়িত নন।
বদলীকৃত ইউএনও আবু সাঈদ চিতলমারীতে দায়িত্বকালে শেখ হাসিনা সরকারের নিশি রাতের ভোট চুরির মাস্টার মাইন্ড ছিলেন। তৎকালিন সময় তিনি এখানকার ভিন্নমতের সাংবাদিকদের মেনে নিতে পারতেন না, আওয়ামী ক্যাডারদের প্রেশক্রিপশনে নানান ভাবে হয়রানি করতেন। জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষন করার জন্য এ উপজেলার ভিন্নমতের সাংবাদিকরা দরখাস্ত জমা দিলেও তিনি পরিচয়পত্রের অনুমতি দিতেন না। অনায়াশে অনুমতি দিতেন আওয়ামী দল বাজদের।
তারই ধারবাহিকতায় আবু সাঈদ গংদের দুর্ণীতি এখন যেন কেঁচো খুঁড়তে সাপের দেখা। দুদকের তদন্তে ১ কোটি টাকা আত্মসাতের গোমর ফাঁস হয়ে গেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

One response to “চিতলমারীতে “জমি আছে ঘর নেই” আশ্রায়ণ প্রকল্পের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ; দুদকের চিঠি, তথ্য-উপাত্ত তলব।”

  1. মোহাম্মদ ওবাইদুল্লাহ says:

    তবে ভূমি নামজারী সংক্রান্ত বিষয়ে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপস পাল দায় এড়াতে পারেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *