সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক: স্বাধীন বাংলা সংবাদ
একটা সময় নিজেকে অযোগ্য মনে করতেন হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন। পর্দায় কাজ শুরু করেছিলেন একেবারে ছোট বয়সে। হ্যারি পটার সিরিজে হারমায়োনি গ্রেঞ্জারের চরিত্রে অভিনয় করার সময় তার বয়স ছিল মাত্র নয় বছর। এই চরিত্র তাকে রাতারাতি বিশ্বব্যাপী আলোচনায় এনে ফেলে।
তবে এত ছোট বয়সে স্পটলাইটে আসা মানেই ছিল বিপুল মানসিক চাপের মুখোমুখি হওয়া। প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা, ক্যামেরার সামনে সবসময় প্রস্তুত থাকা এবং চারপাশের চাপ—এসব মিলিয়ে একসময় নিজেকে অযোগ্য মনে করতেন এমা।
সম্প্রতি একটি মার্কিন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমা বলেন, “পেছনে ফিরে তাকালে বুঝতে পারি, আমার খ্যাতি অর্জনের যাত্রাটা মোটেই সহজ ছিল না। সব সময় নিজের সম্পর্কে এক ধরনের অনিশ্চয়তায় ভুগতাম।”
পোর্টার ম্যাগাজিনে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, শৈশব ও কৈশোরে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় বারবার হোঁচট খেতে হয়েছে তাকে। বয়স যখন এগোচ্ছে, তখন মানুষ নিজের অনুভূতি, চাওয়া-পাওয়া বুঝতে শেখে—কিন্তু এমার জীবনে সেটা হয়েছিল ক্যামেরার সামনে, অবিরাম নজরদারির মধ্যে দিয়ে। এতে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, “লোকে আমাকে প্রশ্ন করত—তুমি কে? তুমি কী ভাবো এসব বিষয়ে? অথচ আমি তখনো নিজের উত্তর খুঁজছিলাম। আমার বন্ধুদের আত্ম-সচেতনতা দেখে ঈর্ষা হতো। আমি বুঝতেই পারতাম না, আমি আসলে কে।”
২০০৯ সালে কলেজে যাওয়ার আগে পর্যন্ত এই অনিশ্চয়তা তার মধ্যে কাজ করত। এরপর তিনি কিছু সময়ের জন্য হলিউড থেকে সরে দাঁড়ান। নিজেকে জানার এবং গুছিয়ে নেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে এমা নিজের জীবনের ‘সেরা কাজ’ বলে উল্লেখ করেন।
নিজেকে ভালোভাবে বোঝার সেই সময়টাই তাকে আজকের আত্মবিশ্বাসী এমা ওয়াটসনে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, “আজ আমি যা করি, তাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আমি জানি, আমি কে। আর এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
তার এই যাত্রা মনে করিয়ে দেয়, বাইরের চাকচিক্য যতই থাকুক না কেন, প্রত্যেকেই নিজের ভেতরের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠেন। নিখুঁত মনে হওয়া মুখগুলোর পেছনেও থাকে সংগ্রাম আর নিজেকে খুঁজে পাওয়ার গল্প।